নিজস্ব প্রতিবেদক এন, এ,বি নিউজ ২৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উত্তর চরবংশী দুই নম্বর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত জসিম হত্যা মামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী ঢাকায় থেকে গ্রেপ্তার।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মী জসিম উদ্দিন বেপারী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৪ আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

গত (২২ এপ্রিল) রাতে ঢাকার পল্টনের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা যায়।

১৪ বি এন বি নেতা কর্মীর গ্রেফতারের বিষয়টি লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) জামিলুল হক বিষয়টি এই প্রতিবেদক কে নিশ্চিত করে বলছেন, আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তার কৃত আসামিদের লক্ষ্মীপুরের আদালতে সোপর্দ করা হয়। 

মামলায় যার এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন গাজী, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য আবুল খায়ের গাজী, ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মো. সিদ্দিক আলী দেওয়ান, ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সোলায়মান দেওয়ান, উত্তর ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হানিফ দেওয়ান, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন বকসি, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. শাহাদাত গাজী, বিএনপিকর্মী খালিদ গাজী, জাকির হোসেন, আব্দুল মন্নান গাজী, মো. নেসার উদ্দিন, মো. মিজান সরদার, মো. খিজির ও তসলিম উদ্দিন।  গ্রেফতার কি তো সবাই উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা। 

এদিকে মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল বিএনপির দু’পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় কৃষকদল নেতা জিএম শামীম ও মোস্তফা গাজীর লোকজন জসিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। 

তিনি গত ১৪ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার পুরো শরীরে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

জসিম হত্যার ঘটনায় তার বাবা ফজল করিম বেপারী বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  এই মামলার  আসামি করা হয় উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মোস্তফা কামাল ও রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব জিএম শামীমসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৮০ জনকে আসামি করা হয় এই মামলায। 

বিএনপির দুই গ্রুপের প্রভাব বিস্তার কে কেন্দ্র করে ৭ এপ্রিলের সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা কৃষকদল নেতা জিএম শামীমের অনুসারী বিএনপিকর্মী ও স্পেন প্রবাসী সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নিহত হন। 

এ পর্যন্ত এ ঘটনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোট দুইজন নিহত হন। এবং আহত হন এ পর্যন্ত  ৩০ জন। এছাড়াও সংঘর্ষে ১৫টি ঘরবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্টানে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। জসিম হত্যার ঘটনা নিয়ে বিচার চেয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।