এন,এ,বি,নিউজ ডেস্ক
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে (১০ জুলাই) দুপুর বৃহস্পতিবার সাড়ে বারোটায় জলবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা হলরুমে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবদের সমন্বয়ে জলবদ্ধতা দুরীকরণে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রায়পুর লক্ষ্মীপুর থেকে নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল এর পাঠানো তথ্য চিত্রে জানা যায।
এই সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জলবদ্ধতা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থাগুলি তুলে ধরেন উপজেলা জনপ্রতিনিধিগণ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান খানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রায়পুর সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ আরমান হাবিব, মো:-আব্দুল হাই Upio,মো:-তছলিম উদ্দিন প্রশাসনিক ক্রমকর্তা, রায়পুর উপজেলা ইন্জিনিয়ার সুমন মুন্সি,রাযপুর প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল সহ উপজেলান বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।
রায়পুর উপজেলা নির্কাবাহী কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট
জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে বৃষ্টির পানি ধারণের জন্য যথাযথ নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, জলাধার তৈরি করা, খাল-বিল ও নদী খনন করা, এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা। এছাড়াও, বৃষ্টির পানি ধারণের জন্য ল্যান্ডস্কেপিং এবং সবুজ এলাকা তৈরি করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন,
বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা:
খাল-বিল ও নদী খনন করে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে।
বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত সরানোর জন্য পাম্পিং স্টেশন স্থাপন করতে হবে।
রাস্তাঘাটের পাশে পর্যাপ্ত পরিমাণে নর্দমা তৈরি করতে হবে।
নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে এগুলো ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ না হয়ে যায়।
বৃষ্টির পানি ধারণের জন্য জলাধার তৈরি করতে হবে।
পুকুর, খাল এবং লেক সংস্কার করে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা:
খাল, নদী এবং জলাধার দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।
নদী এবং জলাধারের আশেপাশে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।
